ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,০৯ ডিসেম্বর : কুরিয়ারটি যাবে নিউইয়র্কে। সবকিছু ঠিকঠাক। জিপিও’র সব ধাপ পেরিয়ে, কেবল বিমানে ওঠার অপেক্ষায়। কিন্তু বাধ সাধলো পুলিশ। শেষ মুহূর্তে সেই প্যাকেট খুলে পাওয়া গেলো চারটি জিন্স প্যান্ট। যার দুটির ভেতর অভিনব কায়দায় লুকানো ছিলো দুই হাজারের বেশি ইয়াবা।
ঘটনার শুরু ৬ ডিসেম্বর। রাজধানীর খিলগাও থানার বনশ্রী জে ব্লকে মাদক বেচাকেনা সন্দেহে ওত পাতে পুলিশ। ধরা পড়ে রাহাত নামে একজন। তার দেয়া তথ্যে নাহিদ ও জুয়েল নামের দুজনকে বনশ্রীর একটি বাসা থেকে আটক করা হয়। তারা বলে রাজীবের নাম। সেও আসে আইনের আওতায়। পুরো রাতের এ অভিযানে উদ্ধার হয় ৮০ পিস ইয়াবা।এ পর্যন্ত ঘটনাটি খুবই সাধারণ। কিন্তু বিপত্তি বাধে ঐদিন দুপুরে রাজীবের নামে নিউইয়র্কে পাঠানো একটি আন্তর্জাতিক কুরিয়ার রশিদের কারণে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, একজন নারীর নামে নিউইয়র্কে চারটি জিন্স প্যান্ট ঢাকা জিপিওর মাধ্যমে পাঠায় তারা। সন্দেহ তীব্র হয় পুলিশের।
৭ ডিসেম্বর যখন এসি খিলগাঁওয়েরে নেতৃত্বে তদন্ত দল জিপিওতে যায়, তখন কুরিয়ারটি বিমানবন্দরে যাবার অপেক্ষায়। ডাক কর্মকর্তাদের নেতৃত্বেই খোলা হয় প্যাকেটটি। বেরিয়ে আসে চারটি জিন্স প্যান্ট কিন্তু আসলে কি আছে ভেতরে। বহু অনুসন্ধানের পর উদ্ধার হয়, প্যান্টের কোমর এবং গোড়ালির সাথে সেলাইয়ের ভেতরে লুকানো ৬৮ টি স্ট্রাইক। যাতে অভিনবভাবে সাজানো ইয়াবা ট্যাবলেট।
পুলিশের কথার সূত্র ধরে পরের যাত্রা দেশের প্রধান ডাকঘরে। সোমবার পুলিশের সাথে অভিযানে ছিলেন এমন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার পর জানা গেলো, স্ক্যানার নষ্ট জিপিওর। সদ্য যোগ দেয়া সংস্থাটির মহাপরিচালক সিরাজ উদ্দিন জানান, অচিরেই নতুন মেশিন আনা হচ্ছে বিদেশি পার্সেল স্ক্যানের জন্য।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেলো, একেবারেই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হচ্ছে দেশের বাইরে পাঠানোর পার্সেলগুলো। এতে অবৈধ দ্রব্য বিদেশে পাঠানোর সুযোগ থেকেই যাচ্ছে।