কুমিল্লায় প্রতিব’ন্ধীকে ধ’র্ষণ করল মা’দ্রাসা শিক্ষক

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,আলী আশরাফ খাঁন দেবিদ্বার থেকে,০৩ এপ্রিল : কুমিল্লার দেবিদ্বারে ১৫ বছর বয়সী এক বুদ্ধি প্রতিব’ন্ধী কিশোরীকে ধ’র্ষণের অ’ভিযোগে মা’দ্রাসা শিক্ষককে আ’টক করে কুমিল্লা কোর্ট হাজতে চালান করেছে পু’লিশ। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে উপজে’লার রাজামেহার ইউনিয়নের রাজামেহার গ্রামের মুন্সী বাড়িতে।

ওই ঘটনায় প্রতিব’ন্ধীর মা বাদী হয়ে থা’নায় মাওলানা বদিউল আলম মুন্সীকে (৫২) আ’সামি করে মা’মলা দা’য়ের করেন। দেবিদ্বার থা’না পু’লিশ বুধবার সকালে অ’ভিযুক্ত মাওলানা বদিউল আলম মুন্সীকে (৫২) তার নিজ বাড়ি থেকে আ’টক করে কুমিল্লা কোর্ট হাজতে চালান করেছেন।
একই সাথে ভিক্টিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। অ’ভিযুক্ত মাওলানা বদিউল আলম মুন্সী রাজামেহার ফাজিল মা’দ্রাসার শিক্ষক।

বাদী তার মা’মলায় উল্লেখ করেন, ৩১ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় অ’ভিযুক্ত রাজামেহার গ্রামের মৃ’ত: কফিল উদ্দিন মুন্সীর ছেলে বদিউল আলম মুন্সী পাশের ঘরের বুদ্ধি প্রতিব’ন্ধী ভিক্টিমকে (১৫) তার নিজ ঘরে সকলের অগোচরে ধ’র্ষণ করে।
বাদীনি সকাল ৮ টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাজামেহার বাজারে যান, ওখান থেকে সকাল সাড়ে ১১টায় বাড়ি এসে দেখেন তার মেয়ের সেলোয়ার কামিজ খোলা।

তাকে দেখে অ’ভিযুক্ত বদিউল আলম মুন্সী ঘর থেকে দ্রুত পা’লিয়ে যাচ্ছে। ওই ঘটনার পরই ভিক্টিমের মা দেবিদ্বার থা’নায় মা’মলা দা’য়ের করেন।
মা’মলা ত’দন্তকারী কর্মক’র্তা উপ-পরিদর্শক মিঠুন সিংহ জানান, বাদীর অ’ভিযোগের ভিত্তিতে মা’মলা রুজু হয়েছে। ভিক্টিমের ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর এবং ত’দন্তের পরই ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।

এব্যাপারে রাজামেহার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জহিরুল ইসলাম মুন্সী জানান, ঘটনাটি স্পর্শকাতর, ভিক্টিমের মায়ের স্বাক্ষরে মা’মলা হয়েছে।
অ’ভিযুক্ত বদিউল আলম মুন্সী একজন ভালো মানুষ, ভিক্টিম এবং অ’ভিযুক্ত সম্পর্কে চাচাতো জেঠাতো ভাই বোন। আমি নিজেও প্রতিবেশী। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন জমি সংক্রান্তে পারিবারিক বি’রোধ চলে আসছে। ভিক্টিমের বাবা বার্ধক্যজনিত কারণে অনেকদিন পূর্বেই মা’রা গেছেন।

রাজামেহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও রাজামেহার ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম সরকার বুধবার বিকেলে সেল ফোনে জানান, অ’ভিযুক্ত বদিউল আলম মুূন্সী একজন ধা’র্মিক লোক।
জমিজমা নিয়ে তাদের পারিবারিক বি’রোধ চলমান। মেয়েটি যাতে সঠিক বি’চার পায় এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটনে দো’ষী যেই হোক তাকে যেন আ’ইনের আওতায় আনা হয়।