ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ষ্টাফ রিপোর্টার,০৩ মার্চ : চীনে মহামারী রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ করছে এশিয়ার অন্যতম এই রাষ্ট্র।
দেশটির চিকিৎসকরাও প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। এবার এই চিকিৎসকদের মধ্যেই একজন ‘বীর’ চিকিৎসকের মৃত্যু হল টানা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টানা ৩৩ দিন ডিউটি পালন করতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে প্রাণ হারান ওই চিকিৎসক। খবর সিনহুয়ার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভোররাতের দিকে কর্তব্যরত অবস্থায় চিকিৎসক ঝং জিনজিং (৩২) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। এতে বলা হয়েছে, গত ২৬ জানুয়ারি থেকে কোনও ধরনের ছুটি নেওয়া ছাড়াই টানা চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন এই চিকিৎসক। করোনার চিকিৎসা সেবাদানকারী জিনজিংয়ের পরিবারে ছয় বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গুয়াংশি নিউজ বলছে, চীনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংশি প্রদেশের লিংফেং শহরের একটি ক্লিনিকের উপ-পরিচালক ছিলেন চিকিৎসক ঝং জিনজিং। নতুন করোনাভাইরাসের নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা লিংফেং টাউন ক্লিনিকের মেডিক্যাল কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত টিমের উপপ্রধানও ছিলেন তিনি।
তিনি লিংফেং শহরে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে একাধিক দায়িত্ব পালন করছিলেন। ক্লিনিকের দায়িত্ব ছাড়াও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, হুবেই প্রদেশ ফেরত বাসিন্দাদের কোয়ারেন্টাইন পরিস্থিতির তত্ত্বাবধান, মহাসড়কের যাত্রী এবং গাড়ির চালকদের শরীরের তাপমাত্রাও পরীক্ষা করতেন চিকিৎসক ঝং।
মানুষজন যখন কর্মস্থলে ফিরবেন তখন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের লাগাম কীভাবে টানা যায়; সেবিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সহকর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে ডরমেটরিতে ফেরার পরপরই হঠাৎ লুটিয়ে পড়েন এবং মারা যান তিনি।
করোনার চিকিৎসাসেবায় বীরোচিত অবদানের জন্য এই চিকিৎসকের পরিবারকে ৮ লাখ ১৮ হাজার ইউয়ান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় সরকারের মানবসম্পদ ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যুরো বিভাগ।