বাঁ-দিক থেকে শামীমা নূর পাপিয়া ও সাবিনা আক্তার তুহিন
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ষ্টাফ রিপোর্টার,২৩ ফেব্রুয়ারি : পাপিয়া নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক, তাই যুব মহিলা লীগের পিকনিকে অপুদির সাথে গেলে তাকে আমি চিনেছি। আমি যেহেতু কর্মী বান্ধব কর্মী, তাই সব জেলার বা মহানগর মেয়েদের সাথে আমি ভালো ব্যবহার করি। আমার সাথে পাপিয়ার এক বছর যাবত দেখা হয় না।
আমি ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি, জেলা কমিটি দেয়ার এখতিয়ার আমি রাখি না। যারা তাকে নেতৃত্বে এনেছে তারা তার ব্যাপারে জবাবদিহি করবে। আমি তীব্র নিন্দা জানাই, আমার বিরুদ্ধে যারা উদ্দশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, পাপিয়ার সাথে আমার কোন গাড়ির ব্যবসা বা অন্য কোন ব্যবসা নেই। এসব আগামীতে যুব মহিলা লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত।
আমার স্বামী একজন ক্লিন ইমেজের ব্যবসায়ী। যারা এগুলো করাচ্ছে সে নেত্রীদের পরিবার কে কি ব্যবসা করে সে ফাইল তলব করা হোক। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করবো রিমান্ডে নিয়ে বের করা হোক পাপিয়া বা তার স্বামীর সাথে কে কে জড়িত? কেউ মানুষের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। তাই সে যেহেতু জেলার সাধারণ সম্পাদক আর সে যেহেতু ঢাকা থাকতো তাই পিকনিকে অপুদির মাধ্যমে দেখা হলে সে নিজে থেকে আমার বিভিন্ন কর্মসূচিতে আসতো। আমি কি জানি সে ভালো, না মন্দ। সব জেলার মেয়েরা এলেই আমি ভালো ব্যবহার করি। আমি পাপিয়াকে অল্প সময় চিনতাম, যারা ফেসবুকে আছে তারা দেখছে তার সাথে এক বছর যাবত আমার সাক্ষাৎও নেই। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তার সাথে আমার কেবলমাত্র সাংগঠনিক সম্পর্ক ছিলো, যার দায়-দায়িত্ব সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের। আমি যদি তার সাথে তার ব্যক্তিগত কোন কর্মে থাকি তবেই কেবল আমার দায়িত্ব।
আমি দুবাই আওয়ামী লীগের নিমন্ত্রণে ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে থাকা অবস্থায় এই চক্রান্ত করা হয়েছে। যাই হোক কেউ অপরাধী হলে তাকে সাজা দেয়া হোক আর তাদের পিছনে কে কে আছে তাও বের করা হোক। আশা করি সত্য বের করে সকল অপরাধীর সাজা নিশ্চিত করা হবে।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখিকা: সাবিনা আক্তার তুহিন
সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগ