খালাফ হত্যা মামলার আপিলের রায় আগামীকাল

SHARE
khalaf_108192ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,আদালত প্রতিনিধি,৩১ অক্টোবর :  ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় বুধবার ঘোষণা করা হবে।
রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের করা আপিলের ওপর পুনঃশুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আপিল বেঞ্চ রায়ের এই দিন ঠিক করে দেন।
হাইকোর্টে এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলামের পক্ষে আপিল বিভাগে শুনানি করেন সিকদার মকবুল হক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তি উপস্থাপন করেন।
এ মামলায় এর আগেও একদফা শুনানি হয়েছিল আপিল বিভাগে। গত ২০ আগস্ট আপিল শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত রায়ের জন্য ১০ অক্টোবর দিন রেখেছিলেন।
কিন্তু এর মধ্যে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ছুটিতে বিদেশে যাওয়ায় এবং রায় প্রস্তুত না হওয়ায় এক আসামির আইনজীবীর আবেদনে বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারকের বেঞ্চ নতুন করে শুনানির সিদ্ধান্ত দেন।
২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্য রাতে গুলশানে নিজের বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী (৪৫)। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর পুলিশ গুলশান থানায় একটি মামলা করে। আর সাড়ে ৪ মাস পর সাইফুল ইসলাম মামুন, আল আমিন, আকবর আলী, মো. রফিকুল ইসলাম নামে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়, যাদের পরিচয় দেয়া হয় ‘ছিনতাইকারী’ হিসেবে।
তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। সেখানে গ্রেপ্তার চারজনের সঙ্গে সেলিম চৌধুরী নামে পলাতক আরেকজনকে আসামি করা হয়। ৩১ অক্টোবর ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
আসামিদের মধ্যে আল আমীন হাকিম আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, সাইফুলসহ বাকি ৪ জন ওই রাতে খালাফকে ঘিরে ধরেন এবং তার কাছে ডলার চান। ডলার না দেয়ায় তাদের মধ্যে ধস্তাধাস্তি হয়। পরে সাইফুল তার হাতে থাকা রিভলবার দিয়ে খালাফকে গুলি করে পালিয়ে যান বলে উল্লেখ করা হয় মামলার অভিযোগপত্রে।
ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ মামলার রায়ে ৫ আসামির সবাইকেই মৃত্যুদণ্ড দেন।
আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট  বেঞ্চ ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর যে রায় দেন, তাতে কেবল সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমতি দেয়া হয়।
বাকি ৪ আসামির মধ্যে বিচারিক আদালতে ফাঁসির আদেশ পাওয়া আল আমীন, আকবর আলী ও রফিকুল ইসলামের দণ্ড কমিয়ে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। পলাতক সেলিম চৌধুরী খালাস পান।
সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, অভিযুক্তরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ডাকাতি করতে ওই ঘটনা ঘটায়। হত্যাকাণ্ডের জন্য তারা সবাই দায়ী। আল আমিন ও খোকনের স্বীকারোক্তি অনুসারে দেখা যায়, পয়েন্ট ২২ বোরের রিভলবার দিয়ে সাইফুল ফায়ার করে। এতে তিনি আহত হয়ে পরে মারা যান।