মিস্টার বেকারে প্রতারণা, জরিমানা পাঁচ লাখ

SHARE

image-37058ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,তুরাগ প্রতিনিধি,১৬ জুন : বেকারি পণ্যের জন্য প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান মিস্টার বেকার মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ফেলে না দিয়ে আবার তাতে নতুন তারিখ ছাপিয়ে বিক্রি করায় ওই কারখানাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসটিআই এবং র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তুরাগ এলাকার মোকদম আলী সড়কের ১০ সরকার বাড়িতে অবস্থিত মিস্টার বেকারের প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় এই অভিযানে যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কেক, প্রেস্ট্রি, পাউরুটি, বিস্কুটের মত বেকারিপণ্য বিক্রিতে রাজধানীতে যে কয়েকটি নামিদামি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, মিস্টার বেকার তার অন্যতম। সেখানে এই প্রতারণা দেখতে পেয়ে হতবাক হয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

তিনি তার ফেসবুক পেজে লিখেন, ‘বিশ্বাস করা আসলেই কঠিন।’ তিনি বিস্ময়সূচক তিনটি চিহ্ন ব্যবহার করেন তার এই স্ট্যাটাসে।

সারোয়ার আলম জানান, তারা মিস্টার বেকারের কারখানায় চারটি অনিয়ম পেয়েছেন। প্রথমত. ৫/৭ দিন আগে তৈরি পণ্যে উৎপাদনের তারিখ দিয়েছে ১৬ জুনের। দ্বিতীয়ত. মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য আবার ব্যবহার, তৃতীয়ত. বেশ কিছু পণ্যে উৎপাদনের তারিখ না দেয়া, চতুর্থত. বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ও মান যাচাই ছাড়া বেশ কয়েকটি পণ্য তৈরি ও বাজারজাত করা।

সারোয়ার আলম জানান, এই অভিযানের সময় চার মণ মেয়াদোত্তীর্ণ কেক ধ্বংস করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র‌্যাব-১ এর মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রের সারোয়ার আলম বলেন, মিস্টার বেকারের কারখানার পরিবেশ মোটামুটি ভাল ছিল। কিন্তু তারা প্রতারণা করে অন্য জায়গায়। যে পণ্য ফেলে দেয়ার কথা, সেগুলো তারা আবার নতুন তারিখ বসিয়ে বিক্রি করে দেয়। আবার কোনো কোনো পণ্যে উৎপাদনের তারিখই দেয় না। ফলে এগুলো কতদিন কেনা যাবে সেটা ক্রেতারা বুঝতে পারে না।

এসব প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে মিস্টার বেকারের ওয়েসবাইটে থাকা একটি মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ফোন ধরেন নাইমুর রহমান নামে একজন।

র‌্যাবের অভিযানে পাওয়া চিত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিষ্ঠানের ফটোশপের কাজ করি। এখন কানাডায় আছি। আপনি রাত নয়টার পর যোগাযোগ করুন। রুমান স্যারের নাম্বারে ফোন করবেন।’