রায় লেখা শেষ না ওয়ায় ফের পেছাল মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁস মামলার রায়। পরবর্তী রায়ের তারিখ এখনও জানা যায়নি।
সাইবার ট্রাইব্যুনাল (বাংলাদেশ) ঢাকার বিশেষ কৌঁসুলি মো. নজরুল ইসলাম শামীম জানান, রায় লেখা শেষ না হওয়ায় নির্ধারিত দিনে রায় ঘোষণা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে রায়ের তারিখ পিছিয়েছে। তারিখ এখনও জানা যায়নি।
এর আগে ৪ আগস্ট এ মামলায় যুক্তিতর্ক শেষে আজ রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।
সাকাদ চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ছাড়া মামলার অন্য আসামিদের জেল হাজতে রয়েছে। তারা জামিনে মুক্ত ছিলেন। এদিকে মামলার আরকে আসামি সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এই মামলার বাকি আসামিরা হলেন, সাকার আইনজীবী ফখরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী (সাঁটলিপিকার) ফারুক হোসেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন আলী, সাকার ম্যানেজার এ কে এম মাহবুবুল হাসান ও আইনজীবী মেহেদী হাসান। এর মধ্যে মেহেদী হাসান পলাতক। আইনজীবী ফখরুল ইসলাম, সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে জামিনে মুক্ত।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে রায়ের আগেই সালাউদ্দিনের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপি সংবাদকর্মীদের দেখান। পরদিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট সাকার স্ত্রী, ছেলে ও আইনজীবীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।