ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বাংলাদেশ সচিবালয় প্রতিনিধি,বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ || ফাল্গুন ২৭ ১৪৩১ :
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা দেখভাল ও অপরাধী ধরতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এসব ক্যামেরায় থাকবে স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্ম সিস্টেম, চেহারা চিহ্নিত করা, গাড়ির নম্বর চিহ্নিত করা প্রযুক্তিসহ ১০ ধরনের সুবিধা। দিনের পাশাপাশি রাতে কোনো অপরাধ ঘটলে সহজেই অপরাধীদের চিহ্নিত করা যাবে।
Advertisement
তাছাড়া যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলে তাৎক্ষণিক শব্দ আসবে মনিটরিং রুমে। আমেরিকা ও জাপান থেকে ক্যামেরা কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৬২৪ সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কয়েক সপ্তাহজুড়ে কর্মদিবস এলেই কোনো না কোনো দাবি নিয়ে সচিবালয়ের ভেতরে-বাইরে জমায়েত করে বিক্ষোভ হতে দেখা গেছে। এ কারণে সচিবালয়ের চারদিকের সীমানা প্রাচীর বেষ্টনী উঁচু করার পাশাপাশি বসানো হচ্ছে নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া। গত ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার পর বাংলাদেশ সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা দেখভাল ও অপরাধী ধরতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা সংখ্যা উল্লেখ করে চলতি মার্চ মাসের শুরুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
Advertisement
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক সাইয়েদ মাহমুদ উল্লা বলেন, “ইনফ্রারেড ক্যামেরা মানুষের তাপমাত্রা থেকে ধরতে পারে। অন্ধকারের মধ্যেও মানুষকে চেনা যায়। একটা বিড়াল গেলেও দেখা যাবে। গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে প্রায়ই এ ক্যামেরা ব্যবহার হয়। এই ক্যামেরা ইমেজ ও ভিডিও নিতে পারে। এমন ক্যামেরা আমেরিকা, চীন থেকে আনা হলে অবশ্যই এসব কাজ করার কথা। এত অল্প সময়ে নষ্ট হতে পারে না।”
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, “শুধু সচিবালয় নয়, দেশের অনেক জায়গায় নিরাপত্তা সচেতনতার অভাব রয়েছে। সর্বোচ্চ প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্রের নাজুক পরিস্থিতি সেটাই আবার প্রমাণ করল। এটা দুঃখজনক। শুধু সচিবালয় নয়, প্রতিটি সরকারি অফিসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।”
তিনি বলেন, “সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের পরিকল্পনায় নিরাপত্তার বিষয়টির অভাব রয়েছে। তারপরও ভালো দিক হচ্ছে, বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করেছে। তবে শুধু পর্যালোচনা করলেই হবে না। যেসব দুর্বলতা উঠে এসেছে, তা কাটিয়ে উঠতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
Advertisement
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ কার্যক্রম শুরু হবে।”