ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি,মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ || মাঘ ১ ১৪৩১ :
মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. শাহীনুর আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত খালাসের রায় দেন।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম। তিনি বলেছেন, “আজ যে রায় হবে, জানতাম না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছে, অভি হত্যার সাথে জড়িত। অভি খুন করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেখানে বলেছে, অভি খুন করেছে; সরকার তাকে লালগালিচা দিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। রাজনীতির বলি হলো মেয়েটা। সরকার ইচ্ছা করে ২০০২ সালে অভিকে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “এ রায়ে আমি সন্তুষ্ট না। আমার মেয়েটা খুন হলো। কে খুনি, সামনে এনে দিতে হবে না? এ রায়ে আমি কীভাবে সন্তুষ্ট হব? তিন্নি খুন হয়েছে, এটা শতভাগ। কে খুন করেছে, আমার জানার আগ্রহ।”
Advertisement
২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। লাশের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে তিন্নির এক আত্মীয় সেটি শনাক্ত করেন। ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্তভার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) ন্যস্ত করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান।
এরপর বিভিন্ন সময়ে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।