ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),মাল্টার প্রতিনিধি,শনিবার ১১ জানুয়ারি ২০২৫ || পৌষ ২৭ ১৪৩১ :
ইউরোপের দেশ মাল্টার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের স্ত্রী শাহীন সিদ্দিক। ২০১৩ ও ২০১৫ সালে দুই দফায় তিনি এ আবেদন করেছিলেন। তবে অর্থপাচার, দুর্নীতি, প্রতারণা ও ঘুষের অভিযোগ থাকায় তার দুটি আবেদনই প্রত্যাখ্যান করা হয়। তাদের মেয়ে বুশরা সিদ্দিকের নাগিকত্বের আবেদনও খারিজ করেছিল দেশটির নাগরিকত্ব-বিনিয়োগ প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বে থাকা হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। ফাঁস হওয়া নথির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
Advertisement
শাহীন যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের চাচি এবং বুশরা চাচাতো বোন। টিউলিপ শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ গত বছরের অক্টোবরে তারিক ও শাহীনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে। জোরপূর্বক গুমের অভিযোগে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে তারিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর আগে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
Advertisement
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের অভিযোগে বলা হয়, শাহীন সিদ্দিকের নেতৃত্বাধীন প্রচ্ছায়া নামক একটি প্রতিষ্ঠান ঢাকায় মূল্যবান জমি দখল করে। শাহীন তার ২০১৩ সালের পাসপোর্ট আবেদনে প্রচ্ছায়ার চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের ভূমিকা উল্লেখ করেছিলেন।
২০১৩ ও ২০১৫ সালে শাহীন মাল্টার পাসপোর্টের জন্য দুটি আবেদন করেছিলেন। ২০১৫ সালের যৌথ আবেদনে তার মেয়ে বুশরাও (ইংল্যান্ডের নাগরিক) ছিলেন। আবেদনের জন্য মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের তথ্য (স্টেটমেন্ট) দেখান শাহীন। তাতে ২৭ লাখ ৬০ হাজার ৪০৯ ডলার জমা দেখানো হয়। আগের দুই মাসে ১১টি লেনদের মাধ্যমে ওই অর্থ হিসাবটিতে জমা দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই অর্থের কোনো উৎসের কথা নথিতে জানানো হয়নি।
Advertisement
বুশরা টিউলিপ সিদ্দিকের চাচাতো বোন এবং প্রচ্ছায়ার পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে শিক্ষার্থী ভিসায় অবস্থানের সময় নিজের ঠিকানা দিয়েছিলেন মধ্য লন্ডনের সেন্ট প্যানক্রাস স্টেশনের কাছের একটি বাড়ির। ওই বাড়ি থেকে কয়েক মিনিটের হাঁটা দূরত্বে কিংস ক্রস এলাকায় টিউলিপ সিদ্দিকের ফ্ল্যাট রয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফ্ল্যাটটি ২০০৪ সালে তাঁকে বিনা মূল্যে দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ–সংশ্লিষ্ট একজন আবাসন ব্যবসায়ী।