অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার নগ্ন আস্ফালনে ক্ষুব্ধ সাংবাদিক সমাজ

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),হোসেন মোহাম্মদ দিদার মেঘনা থেকে,শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২০  ১৪৩১:

মেঘনা উপজেলার বাসিন্দা বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া। অনেক বড় নেতা। শিক্ষক কাম রাজনৈতিক নেতা।
আমার সঙ্গে ওনার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। তবে অন্যায় বা অবিচার দেখলে আমি স্থির থাকতে পারি না; প্রতিবাদ না করতে পারলে মন থেকে হলেও ধিক্কার জানাই।

Advertisement

 

সম্প্রতি কালের পরিক্রমায় তিনি নিজেকে মেঘনার অভিভাবক দাবি করছেন, মেঘনার মানুষের ওপর খবরদারি করছেন এই খবরদারি আগে বা আওয়ামী লীগের ১৬ বছর শাসনামলে এভাবে ঘোষণা দিয়ে কাউকে করতে দেখি নাই। এই ভেবে আমি বিস্মিত হই আবার বিচলিতও হই। কারণ পুরো মেঘনা এখন ওনার নখদর্পনে। যাচ্ছে তাই করতে পারে। মেঘনার জনক দাবি করা শফিকুল আলমকেও আমি এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে বক্তব্য রাখতে দেখিনি।
ওনি পৃথক পৃথক সভায় দুটি বক্তব্য দিয়েছেন যা অন্তর্জাল দুনিয়ার কল্যাণে আমার নজরে এসেছে। দুটি বক্তব্যর ভাষাই যুদ্ধাংদেহী মনোভাবে আক্রমনাত্মক ভাষায় কথা বলেছেন। তার এই দুটি বক্তব্য ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিকসমাজ। এতে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করার কথাও বলেছেন সাংবাদিকরা।

 

১:
এক বক্তব্যে তিনি বলেছেন মেঘনা উপজেলা কেউ কোনো প্রোগ্রাম করলে ওনার অনুমতি নিয়ে করার আদেশ জারি করেন। এটা কী কোনো স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক নেতার কথা হতে পারে? তার এই আদেশ তো নির্বাহী আদেশের মত।
ওনার এই কথা আইনের ভাষায় ১৪৪ ধারা জারির মত! আমার জানামতে এই আইন কেবল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য প্রয়োগ করতে পারেন।
আমি জানতে চাই মিস্টার সেলিম ভূঁইয়া আপনি কী নির্বাহী বিভাগের কোনো দায়িত্ব পেয়েছেন? জানতে মন চায় আপনি ককতম বিসিএসে উত্তীর্ণ?
২:
সম্প্রতি আবারও মেঘনা উপজেলা বিএনপির এক প্রোগ্রামে অধক্ষ্য সেলিম ভূঁইয়া এক বক্তব্যে আস্ফালন দেখিয়ে তার কথা মত কাজ না করলে স্থানীয় সাংবাদিকদের এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন! মেঘনাকে যারা সকাল বিকাল ওল্টাত তারা আজ কোথায় আছে —অদক্ষ সেলিম ভূঁইয়া আপনি জানেন কী? আপনাকে এইটুকু বলতে চাই “দিনের পর রাত আসে। রাতের পর দিন আসে”। আমার তো মনে হয় আপনি এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছেন।

Advertisement

আপনার এইসব বক্তব্য আপনি দ্রুত প্রত্যাহার করেন এবং নিঃশর্তভাবে সাংবাদিক তথা মেঘনাবাসির কাছে ক্ষমা চান। না হয় এই বক্তব্য আপনার ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে কাঁটা হয়ে বুকে বিঁধবে। আপনার প্রতি সেই সাথে আরো একটু প্রেসক্রিপশন দেওয়ার বোধ করছি বক্তব্য দিবেন তবে বক্তব্যে দিতে গিয়ে খেই যাতে না হারায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আমার মতে কোনো নেতা যখন বক্তব্য দেয় তখন খেই হারিয়েই আবোলতাবোল বলে। বক্তব্য দিয়ে মানুষকে হেয় করার মন মানসিকতা পরিহার করুন আশা করি সুন্দর আচরণের মাধ্যমে আপনি একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে আপনি রাজনীতি করে যাবেন তাহলে আপনার পথটা হয়তো সুন্দর ও পুষ্পাকীর্ণ হতে পারে। আপনাকে সমঝে চলতে হবে নচেৎ প্রকৃতি আপনাকে সময় মত এসব ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের সময়োপযোগী জবাব দিয়ে দিবে।