মেয়াদের বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত সম্ভব না: রিজওয়ানা

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),ঢাকা  প্রতিনিধি, শুক্রবার, ০৯ আগস্ট ২০২৪, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩১ : নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে সে বিষয়ে এখনই আলোচনা করা বা সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ এ কথা বলেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে-এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, মেয়াদের বিষয়ে এখনই আলোচনা করাটা বা সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সম্ভব না। কারণ, আপনারা কী রিফর্ম চান, এটা না বুঝে তো আমি মেয়াদের কথা বলতে পারবো না।

‘আর রিফর্ম যদি না চান, তাহলে আরেক কথা। কাজেই এখনই মেয়াদ মেয়াদ করে অস্থির হওয়ার কিছু নাই,’ যোগ করেন তিনি।

নতুন সরকারের এই আরও বলেন, আমরা সকলেই যাতে একটা গণতান্ত্রিক দেশে যাত্রা শুরু করতে পারি, সেটার প্রস্তুতির জন্যই তো এই অন্তর্বর্তী সরকার।

Advertisement

‘সেই প্রস্তুতিটা নেয়ার জন্য যেটুকু সময় দরকার, শুধু সেটুকু সময়ই আমরা নেবো। শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রের দিকেই আমাদের যাত্রা হবে,’ বলেন তিনি।

rejoyana

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাসহ নানা বিষয়ে এদিন আলোচনা হয়ে বলে জানান রিজওয়ানা হাসান। বলেন, যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। এখনো রাস্তায় ট্র্যাফিক পুলিশ নেই, শিক্ষার্থীরা রাস্তা ম্যানেজমেন্ট করছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি না যে কালই (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) খুলে দেবো।

‘শিক্ষক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’

তিনি বলেন, সব সেক্টরের রিফর্ম নিয়ে আমরা কথা বলেছি। এভাবে চলে না, চলতে পারে না, সিস্টেমটা আমাদের বদলাতে হবে। সেই রিফর্মগুলো একা তো আর করা যাবে না। সমাজের সবার সঙ্গে কথা বলা হবে রিফর্ম অ্যাজেন্ডা ঠিক করে আমরা আলাপ-আলোচনায় যাবো।

Advertisement

বৈঠকে দেশের আর্থিক খাতের বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান রিজওয়ানা। বলেন, আর্থিক খাতগুলো শুধু চালু করলেই হবে না, সক্রিয় করতে হবে। যেখানে নেতৃত্বের স্থানে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন যেগুলোতে, অনতিবিলম্বে সেসব পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।