খাগড়াছড়িতে গাঁজার গ্রাম! (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১ : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার কালা পাহাড় পেরিয়ে দুর্গম দুইল্ল্যাতলী গ্রাম। খাগড়াছড়ি-মহালছড়ি সড়ক থেকে পায়ে হেঁটে যেতে হয়।

একাধিক পাহাড় পেরিয়ে এই গ্রামে যেতে সময় লাগে অন্তত ১ ঘণ্টা। দুর্গম এলাকায় ঘর-বাড়ির সংখ্যা প্রায় ২০টি।

Advertisement

পাহাড়ের নিচে সমতল ভূমির প্রতির প্রতিটি ঘরের আবাদী জমিতে চলছে গাঁজার চাষ। প্রায় ৪০টি গাঁজা ক্ষেত করেছেন তারা। দেখে মনে হবে এই যেন গাঁজার গ্রাম!

লোকচক্ষুর অন্তরালে এই গ্রামে রীতিমত গাঁজার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। বেশির ভাগ গাঁজা ক্ষেতের আয়তন ৩-৪ বিঘা পর্যন্ত।

দুর্গম এলাকা হলেও সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে গাঁজা চাষের সঙ্গে যুক্ত কাউকে আটক করা যায়নি। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে গাঁজা চাষীরা।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে মাটিরাঙ্গার দুর্গম দুইল্ল্যাতলী এলাকার কমল চরণ কার্বারি পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় গ্রামজুড়ে কেবল গাঁজার ক্ষেত। প্রায় প্রতিটি বাড়ির বসতবাড়ির আঙিনায় ও ফসলি জমিতে গাঁজার চাষ করা হয়।

নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ড্রোন এবং নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য, পেট্রল টিমের মাধ্যমে বিশাল গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পাওয়া যায়। ধ্বংস হওয়া গাঁজা ক্ষেতের বাজার মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা।

Advertisement

জানা গেছে, খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ে চাষ হচ্ছে নিষিদ্ধ গাঁজা। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি এলাকাকে কেন্দ্র একটি গোষ্ঠীর গাঁজার আবাদ করছে। মূলত লোকচক্ষুর অন্তরাল করতেই গাঁজা চাষের জন্য দুর্গম পাহাড়ি এলাকাকে বেঁছে নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা বলেন, কীভাবে এই এলাকায় গাঁজার জগত গড়ে তুলেছে তা আমার জানা নেই।  ভবিষ্যতে যাতে কেউ এই ধরনের কাজ করতে না পারে সেই ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে।

মাটিরাঙ্গা থানার এসআই মো. মহিউদ্দিন আহম্মদ জানান, এত দুর্গম এলাকায় নজরদারি রাখা কঠিন। তাই লোকচক্ষুর আড়ালে গ্রামের লোকজন গাঁজার আবাদ করেছে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে গাঁজা চাষের সঙ্গে সম্পৃক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, এটি গাঁজা ক্ষেতের মৌসুম। এসব গ্রাম দুর্গম হওয়ায় আঞ্চলিক সন্ত্রাসী বাহিনী গাঁজার আবাদ করেছে। গ্রামের বাসিন্দারাও গাঁজা চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেনাবাহিনী মহালছড়ি জোনের নেতৃত্বে বিশাল গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে এসব গাঁজা আগুনের পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

Advertisement

এর আগে ২০ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির মহালছড়ির দুর্গম কলাবুনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ একর গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়।