ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ : গত ২৮ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সদ্য সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের আগামী ৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সেই চিঠি পড়ে রয়েছে বেনজীরের বাড়ির অভ্যর্থনা কক্ষে। কারণ চিঠি যখন এই বাড়িতে এসে পৌঁছায় তার আগেই সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়েছেন। তাই দুদকের চিঠি তাঁদের হাতে পৌঁছায়নি, পড়ে আছে তার আলিশান এই ভবনের অভ্যর্থনা কক্ষে। আজ শনিবার দুপুরে গুলশানের এই বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে এসব তথ্য।
Advertisement
বেনজীর এবং তার পরিবারের কেউ এখন এই বাড়িতে নেই। তাই তাদের পক্ষে কথা বলার মতো কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে কথা হয় বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী রাকিবের সঙ্গে। মিলেনিয়াম সার্টিস সিকিউরিটি বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি এজেন্সিতে কাজ করা এই নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘তিন সপ্তাহ আগে তিনি (বেনজীর আহমেদ) এই বাড়ি থাইকা বাইর হয়া গেছেন। তারপরে আর আসেন নাই। কই আছেন জানি না। খবরে দেখছি উনি নাকি বিদেশ গেছেন।’
Advertisement
এখন বেনজীর আহমেদের খোঁজে কেউ এই বাড়িতে আসে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে রাকিব বলেন, ‘পাঁচ দিন আগে দুদক থেকে তিনজন লোক আসছিল। কয়েকটা চিঠি দিয়া চইলা গেছে। তারা না থাকায় চিঠিগুলা রিসেপশনে দিয়া গেছে। এখনো ওইগুলা রিসিপসনেই আছে। এছাড়া কয়েকটা চ্যানেল থাইকা কয়েক দিন লোক আসছিল। তারা কিছুই পায় নাই।’
Advertisement
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, বাংলাদেশ ছাড়ার পরে বেনজীর আহমেদ সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। অন্য দিকে দুদক বলছে, গুলশানের এই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের মতো আরো কয়েকটি ফ্ল্যাট আছে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের। এছাড়া তাঁর জন্মস্থান গোপালগঞ্জে ৩৪৫ বিঘা ও মাদারীপুরে ২৭৩ বিঘা অবৈধ জমির সন্ধান পেয়েছে এই সংস্থা। যা তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে। কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে দুদক।
