ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি ,শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ : ছাত্রলীগের নেতাদের মারধরের ঘটনায় পুলিশ ক্যাডার অ্যাডমিন ক্যাডার এবং ছাত্রলীগের মধ্যে অভ্যন্তরীণ লড়াই চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পারস্পরিক দ্বন্দ্বের বিষয়টিও স্পষ্ট। যাতে ভীষণ বিব্রত রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা।
Advertisement
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের ইটিটি রুমে এডিসি হারুনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান এডিসি সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। এর জেরে রাতেই ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
এ ঘটনায় তোলপাড় সারাদেশে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান। এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্তের পর কয়েক দফা বদলি করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
আইনরক্ষার দায়িত্বশীলদের এমন আচরণের ঘটনাকে বিব্রতকর বলছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক।
ঢাবির আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, ‘আমি মনে করি এটা সবার জন্যই একটা বিব্রতকর বিষয়। মানুষের কিছু ইমপালস থাকে যেমন রাগ, ক্ষোভ, ঈর্ষা সেটা আপনার নৈতিকতা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাদের নারী কিংবা ক্ষমতা প্রদর্শনের বিষয় হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে তারা তাদের ইমপালস নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের নীতি নৈতিকতাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
Advertisement
তদন্ত চলাকালীন ঊর্ধ্বতনের অনুমতি ছাড়াই মুখ খুলেন এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা এবং কথা বলেন ডিবি প্রধান হারুনও। যাতে ক্ষোভ জানান, ডিএমপি কমিশনার। এতে বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ঠিক থাকা নিয়ে শঙ্কা জানান, সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম।
তিনি বলেন, যেকোনো সার্ভিসেই হোক চেইন অব কমান্ড মানা উচিত। এটা ভেঙে ফেলাটা কোনো সার্ভিসের জন্যই সুখকর নয়। পুলিশ কমিশনার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারেন। ব্যবস্থা নেয়াটা সঙ্গত হবে।’
এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও, এডিসি সানজিদা ও তার স্বামী আজিজুল হক মামুনের বিরুদ্ধে এখনও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলছেন, সবাইকে একইভাবে বিবেচনা করতে হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘এই যে আরেকজনের কথা যে বলছে তার বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নেয়া হচ্ছে না, কেন? সেটাও বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। আমি মনে করি, সেদিনের ঘটনায় কি ছিল, কি আসলে হয়েছিল সেটা বিভিন্ন দিক থেকেই তদন্ত করা হচ্ছে, ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তরা চাকরিচ্যুত হবেন।