ফেসবুকে পরিচয়ের পর অবৈধ সম্পর্ক, অতঃপর খুন

SHARE
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নোয়াখালী প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২ : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় চাঞ্চল্যকর জান্নাতুল ফেরদাউস পাখির (৩২) হত্যার জট খুলেছে। ফেসবুকে শাহাদাত হোসেন জীবনের (২৪) সঙ্গে পরিচয় হয় পাখির। এরই মধ্যে উভয়ের মধ্যে প্রেম ও অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের সূত্র ধরেই নির্জন স্থানে দেখা করে তর্কবির্তকের একপর্যায়ে জীবন তার সঙ্গে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে পাখিকে গলা কেটে হত্যা করেন।
রোববার (১৯ জুন) পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার শাহাদাত হোসেন জীবন এ তথ্য জানান।
এর আগে শনিবার রাতে সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি গ্রাম থেকে শাহাদাত হোসেন জীবনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছোরা ও নিহতের মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার শাহাদাত হোসেন জীবন দেওটি ইউনিয়নের পিতাম্বরপুর গ্রামের শামছুল আলমের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আসামিকে গ্রেফতারের তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার জানান, জান্নাতুল ফেরদাউস পাখি ২০০৮ সালে প্রথম ও ২০১৪ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের ছয় মাস পর স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
চলতি বছরের মে মাসে রাজমিস্ত্রি শাহাদাত হোসেন জীবনের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় পাখির। এরপর উভয়ের মধ্যে প্রেম ও অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে পিতাম্বরপুর গ্রামের মিনহাজী বাড়ির এনায়েত উল্যার বসতঘরের পাশে নির্জন স্থানে দেখা করেন তারা। ওই স্থানে নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে তর্কবির্তকের একপর্যায়ে জীবন তার সঙ্গে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে গলা কেটে পাখিকে হত্যা করেন।
পরে পাখি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে দুই হাত ও দুই পায়ের রগ কেটে দিয়ে পালিয়ে যান জীবন। পরদিন বুধবার সকালে ওই এলাকা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি শাহাদাত হোসেন জীবনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছোরা ও নিহতের মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিকেলে গ্রেফতার আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হয়।