ফরিদপুরে ‘সিরিয়াল কিলার’ সাগর গ্রেফতার

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ফরিদপুর প্রতিনিধি,শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২ : ফরিদপুরে একাধিক হত্যা মামলার আসামি ও সিরিয়াল কিলার সাগর মোল্লাকে (২৩) অস্ত্র-মাদকসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল শহরের কমলাপুর লালের মোড় এলাকায় অবস্থিত টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, দেড় হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

 
সাগর মোল্লাকে গ্রেফতারের বিষয়ে শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, সাগর মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। 
 

সে গত ৫ মাসে তিনটি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। এর মধ্যে গত ১৯ দিনে সে ও তার সহযোগীরা ইজিবাইক চালক দুই কিশোরকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনিয়ে নেয়। ইজিবাইক ছিনতাই করতে যেয়ে তিনটি হত্যাকাণ্ডই সে করেছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে জামাল পাশা জানান, সাগর মোল্লা এলাকার উঠতি বয়সী কয়েক কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে একটি গ্যাং তৈরি করে। সেই কিশোর গ্যাংটিকে নিয়ে সাগর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে চুরি, মাদক, ছিনতাই করে বেড়াতো। তার গ্যাংয়ের সদস্যরা কিশোর ও শিশু হওয়ায় তাদের কেউই সন্দেহ করতো না।
 
 ইজিবাইক ছিনতাইকারী হিসেবে আছমত শেখ ও আশিক শেখ নামে দুই কিশোর ও শিশু পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসে সিরিয়াল কিলার সাগর মোল্লার বিষয়টি।
 
সিরিয়াল কিলার সাগর মোল্লা তার সহযোগী দুই ভাই আছমত শেখ ও আশিক শেখকে নিয়ে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের কাজে নামে। তারা কিশোর বয়সী ইজিবাইক চালককে টার্গেট করে মিশনে নামতো। এপ্রিল মাসেই এ চক্রটি মিলে দুটি ইজিবাইক ছিনতাই করে। 
 
সেই সময় ইজিবাইক চালক সাব্বির বিশ্বাস (১৪) ও নাইম শেখকে (১৫) নৃশংসভাবে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া এ চক্রটি গত মাসে চরমাধবদিয়া এলাকায় আরেক কিশোরকে হাত-পা বেঁধে খুন করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
 
সিরিয়াল কিলার সাগর মোল্লার বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ ও ফরিদপুর থানায় হত্যা, মাদক ও অস্ত্রসহ মোট ৭টি মামলা রয়েছে। সাগর মোল্লার বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের লোকমান খাঁ’র ডাঙ্গী গ্রামে।
 
 তার বাবার নাম কাসেম মোল্লা। সাগর মোল্লা ও তার সহযোগীরা আরও কোনো খুনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাইবে বলে জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এছাড়া এ কিশোর বাহিনীর সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।