ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ০৬ এপ্রিল ২০২২ : জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত ১ নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীর আরও একটি দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা কার্যক্রম চলছে বলে এলিট ফোর্সটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে আশিষকে গ্রেফতারের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ‘উনি (আশিষ) মাঝে মাঝেই বিদেশে গিয়েছেন। একটি দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে বলে উনি আমাদের বলেছেন। যেটা যাচাই করে বুধবার বলতে পারব।’
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গত ২৮ মার্চ তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়। ওই বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গোপন তথ্যে এই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাসা মিরপুর ডিওএইচএস। কিন্তু এই বাসাটি তিনি আত্মগোপনের জন্য ব্যবহার করছিলেন। বাসাটি তিনি ভাড়া নিয়েছিলেন। অভিযানে বাসা থেকে ২৩ বোতল মদ, বেশ কিছু বিয়ার, সীসার সরঞ্জাম উদ্ধার করেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আরও যেসব আসামি পলাতক রয়েছেন তাদের গ্রেফতারে আমরা গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আশিষকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে তিনি জানান।
দুই নারীকে আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তার বাসায় আমরা দুজন নারীকে পেয়েছি। তার পরিবার এখানে থাকেন না। দুই নারীর পরিচয় এবং কী উদ্দেশ্যে ছিল, তা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত র্যাব গুলশানের ২৫/বি ফিরোজা গার্ডেন নামের একটি বাসা থেকে আশিষ রায় চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ক্লাব ট্রাম্পসের নিচে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। গোয়েন্দা পুলিশ ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের নামও ছিল। অন্য আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আশিষ চৌধুরী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, আদনান সিদ্দিকী, তারিক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ও ফারুক আব্বাসী।
এই মামলায় আশিষ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাও ছিল।