ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,১৪ নভেম্বর : ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর আগের চেয়ে আরও সহজ হবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রত্যাশা, মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে মার্কিন নীল শিবির পাশে ছিল লাল-সবুজের বাংলার, ঠিক তেমনি এই মানবতাবিরোধী অপরাধ ইস্যুতেও সহায়তা পাবে শেখ হাসিনা প্রশাসন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মুজিবনগর সরকারের পক্ষে অবস্থান নেয় সে সময়ের মার্কিন বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। রিপাবলিকানরা ছিল পাকিস্তানের সমর্থনে। সরকারি দলের চাপ উপেক্ষা করে সিনেটে মানবতার আওয়াজ তোলেন জো বাইডেনের সতীর্থ টেড কেনেডি। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া বাইডেন ৭২-সালে প্রথম সিনেটর হন। তিনিও খুব কাছ থেকে দেখেছেন বাংলাদেশের জন্ম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে লাল-সবুজের উন্নয়ন।
৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি। আর খুনিরা পালিয়ে যায় বিভিন্ন দেশে। কয়েকজনের সাজা কার্যকর হলেও, আইনি জটিলতায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকা, ঘাতক রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে ঢাকাকে। এবার বাইডেন সরকার ক্ষমতায় আসায় আশাবাদী ডেমোক্র্যাট দলের বাঙালি নেতাকর্মীরা। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় বাংলাদেশে এনে ফাঁসি কার্যকরের প্রত্যাশা যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেকটাই বেশি।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগও বলছে, জানুয়ারিতে বাইডেন-কামালা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেয়ার আগেই এ বিষয়টি নিয়ে তারা আলোচনা করে সেরে রাখতে চান।
সম্প্রতি ঢাকা সফরে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তা স্টিফেন ই বিগান এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। ইতোমধ্যে রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের নিষ্পত্তি হওয়া মামলাটি পুনঃবিবেচনার জন্য নথি তলব করা হয়েছে। যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আশাবাদ, এবার আর কোনো আশ্বাস নয়, সরাসরি খুনি রাশেদকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা এখন কয়েক মাসের ব্যাপার মাত্র।