ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),টেকনাফ প্রতিনিধি,০৭ নভেম্বর : প্রদীপ কুমার দাস, বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামী হয়ে এখন কারাগারে। পুলিশ বিভাগে তার দাপুটে হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে হাইকোর্টের রায় গোপন করে এসআই থেকে হন ইন্সপেক্টর। রাষ্ট্রর সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা বলছেন, তার এই পদোন্নতি অবৈধ। এর পেছনের মদদদাতাদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
প্রদিপ কুমার দাস। সময়ের আলোচিত-সমালোচিত বহিস্কৃত পুলিশ কর্মকর্তা। দায়িত্বে থাকার সময় তার বিরুদ্ধে মানুষ খুনসহ নানা অভিযোগ উঠে আসে। সব শেষ সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা হত্যা মামলার আসামী হিসাবে এই প্রদীপ এখন জেলে। তবে প্রদীপের অসীম ক্ষমতাধর হয়ে উঠার নেপথ্যের কিছু নথি এসেছে চ্যানেল24-এর হাতে।
২০০১ সালে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার এসআই ছিলেন প্রদীপ। সেসময় তিনি একটি মাদক মামলার আইও হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই মামলা তদন্তে নানা অনিয়ম প্রমানিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগিয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেই সাথে তিন বছর কোন মামলায় তদন্ত করতে পারবেন না প্রদীপ এমন তিনটি আদেশ দেন কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রদীপ হাইকোর্টে আপিল করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগিয় ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ বহাল রেখে মামলা তদন্তের বিষয়টি থেকে তাকে অব্যাহতি দেন।
এর মধ্যেই তৎকালিন বিএনপি – জামাত জোট সরকারের সময় হাইকোর্টের রায় গোপন করে পদোন্নতি পান প্রদীপ। এসআই থেকে হন ইন্সপেক্টর।
২০০৮ সালে বিষয়টি কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতকে অবহিত করা হয়। ২০১০ সালে আদালত আদেশ দেন… হাইকোর্টের দেওয়া রায় কার্যকর না করা, তথ্য গোপন রেখে পদোন্নতি দেওয়া এবং হাইকোর্টের সম্মান রক্ষার্থে কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তার কারন দর্শানো হয়।
এখনও পর্যন্ত এই মামলার কোন কুল কিনারা হয়নি। গেলো দোসরা নভেম্বর এই বিষয়ে আইনী নোটিশও পাঠানো হয় পুলিশ সদর দপ্তরে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আদালতের আদেশ অমান্যকারী আদালত অবমাননা করেছেন এবং এর শাস্তি হওয়া উচিৎ।
এই বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।