ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,৩০ অক্টোবর : জমির মালিকানা ঢাকা সরকারি বধির হাইস্কুলের, কিন্তু গেলো ১৩ বছর ধরে তা দখলে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের। যেখানে ক্ষমতার কাছে পুরোপুরি অসহায় বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী প্রায় তিনশ’ শিক্ষার্থী। প্রশাসন বলছে জমিটির প্রকৃত মালিক বাক প্রতিবন্ধীরা, স্কুল কর্তৃপক্ষ নতুন করে আবেদন করলে নেয়া হবে উদ্ধারের উদ্যোগ।
বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে ১৯৬৬ সালে বিজয়নগরে স্থাপিত হয় ঢাকা সরকারি বধির হাই স্কুল। সে প্রত্যাশায় আরো বেশি আলো ছড়াতে ২০০৫ সালে ঢাকার লালবাগ মৌজায় ১ একর খাস জমি স্কুলটিকে বরাদ্দ দেয় সরকার।
তবে সেই জমিই কাল হয়ে দাড়িয়েছে কথা বলতে না পারা সমাজের এসব মানুষের জন্য। জেলা প্রশাসন কয়েকবার জমি বুঝিয়ে দিলেও পেশীশক্তির কাছে হার মানতে হয়েছে তাদের।
নানা জায়গায় ধর্না দিয়ে এতোদিনেও জমি ফেরত পাননি প্রতিবন্ধীরা।
এবিষয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক জানান, বিষয়টি তারা জানেন এবং জমি উদ্ধারে শিগগিরই ব্যবস্থা নেবেন।
জমির বিষয়ে হাজী সেলিমের বক্তব্য জানতে চকবাজারের বাসায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। ফোন দিয়েও জানা যায়নি কোথায় আছেন তিনি?
বুড়িগঙ্গা তীরে সোয়ারী ঘাট এলাকায় বধির স্কুলের জায়গার সামনের অংশে একটি ফিলিং স্টেশন, আর পেছনের স্থাপনায় কারখানা গড়ে তুলেছেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম।
ডিসি অফিস থেকে জমি কয়েকবার বধির স্কুল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিলেও হাজী সেলিমের লোকজন পেশীশক্তি খাটিয়ে দখলে রেখেছেন জমিটি।
নামজারি খতিয়ান দলিল সবই ঢাকা সরকারি বধির স্কুলের নামে। চলতি বছর পর্যন্ত দেয়া আছে তাদের ভূমিকরও।