ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০১ জুন : করোনাভাইরাসের প্রভাব দীর্ঘায়িত হলে বাড়তে পারে দেশের মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজের মেয়াদ। আগামী মাসের মধ্যে সবগুলো স্প্যান বসানোর কথা থাকলেও নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। কর্তৃপক্ষের দাবি, এখন পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৮০ ভাগ।
সামনে বর্ষা। এখনই নদীতে পানি বেড়েছে সাড়ে ৬ ফুটের বেশি। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা বলছে, নদীর প্রবল স্রোত বাধা হয়ে দাঁড়াবে পদ্মা সেতুর কাজে।
পানিতে স্রোত, ডাঙ্গায় করোনা ভাইরাস। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে সব শ্রমিকদের প্রকল্পের ভিতর শতভাগ আবাসিক ব্যবস্থা করে রাখা হচ্ছে। কর্মীদের সংক্রমণ থেকে রক্ষার পাশাপাশি কাজ চালিয়ে যেতে ঈদেও কোনো শ্রমিককে ছুটি দেয়া যায়নি।
জাজিরা থেকে মাঝনদী পর্যন্ত ২৮টি স্প্যান বসানো হলেও মাঝে বাদ পড়েছে একটি। বর্ষার আগে এটি বসাতে হবে। চ্যানেলের মধ্যে পলি জমে গেলে এ একটি স্প্যানের জন্য ড্রেজিং করতে হবে ২ কিলোমিটার নদী। এরপর ধরা হবে মাওয়া প্রান্তে মূল নদীতে বাকি ১০টি স্প্যান বসানোর কাজ। সবগুলো স্প্যানই জুলাই মাসের মধ্যে বসানোর কথা। সেটা হচ্ছে না, পাশাপাশি পরিবর্তন আসতে পারে প্রকল্পের মেয়াদেও।
পদ্মাবহুমুখী সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা জানি না করোনা ভাইরাসের প্রভাব কতদিন চলবে। এটির ওপর নির্ভর করছে মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না। তবে খুববেশি সময় বাড়ানো লাগবে না হয়তো। খুব বেশি হলে ২-৪ মাস বেশি সময় লাগবে।
স্প্যানের উপর প্রায় ৩ হাজার করে বসাতে হবে স্ল্যাব। এখন পর্যন্ত বসেছে ১১০৫টি রেল এবং ৫৯৪টি রোড স্ল্যাব। মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩৯টি দেশে। বাকি দুটির যন্ত্রাংশ গত মাসে চীন থেকে রওনা হয়েছে, এ মাসের মধ্যে মাওয়া পৌঁছানোর কথা।