জীবনের ঝুঁকি নিতে নারাজ ব্যবসায়ীরা

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ষ্টাফ রিপোর্টার,১০ মে : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে অধিকাংশ শপিংমল ও মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজধানীর ব্যবসায়ীরা।

সরকার শর্ত সাপেক্ষে ১০ মে থেকে দোকান, মার্কেট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিলেও ব্যবসায়ীরা সেসব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ব্যবসা করতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিতে নারাজ তারা।

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিংমল, যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনি চক, ইসমাইল ম্যানশন, নূর ম্যানশন, চিশতিয়া মার্কেট, নিউ চিশতিয়া মার্কেট, ধানমন্ডি হকার মার্কেট, ইস্টার্ন মল্লিকা, গ্রিন স্মরণিকা ও গোল্ডেন প্লাজাসহ ছোট-বড় মার্কেট খুলবে না ঈদের আগে।

এ বিষয়ে চাঁদনি চক বিজনেস ফোরামের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘গতকাল দুপুরে ব্যবসায়ী নেতা ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা বৈঠক করেছি। সেই বৈঠকে সবার সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ঈদের আগে মার্কেট খোলা হবে না।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই আমরা দেখতে পাচ্ছি, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মার্কেট খোলা রাখলে আমাদের লাভ হবে ঠিকই, কিন্তু সাধারণ মানুষ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন। এমনকি আমাদের নিজেদেরও ঝুঁকি রয়েছে। আমরা ঝুঁকি নিতে চাই না।’

ঢাকা নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আশরাফউদ্দিন আহমেদ বাবু রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। অধিকাংশ ব্যবসায়ী মার্কেট বন্ধের বিষয়ে মত দিয়েছেন। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঈদের আগে নিউ মার্কেট খুলব না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ী হলেও সবার আগে আমরা মানুষ। নিউ মার্কেট বন্ধের ফলে যদি আমরা একজন মানুষকে এই করোনার হাত থেকে রক্ষা করতে পারি সেটাই হবে আমাদের বড় পাওয়া। মার্কেট বন্ধ থাকলে আমাদের লস, এটা যেমন সত্য ঠিক, তেমনই আমাদের ঝুঁকিও রয়েছে। আমাদের দেশের জনগণকে তো আমরা সবাই চিনি। যতই আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে বলি না কেন, সে নির্দেশনা কেউ মানবে না। বেঁচে থাকলে ব্যবসা অনেক করা যাবে।’

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘শর্ত সাপেক্ষে আজ থেকে দোকান ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে আছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের এলাকা। তাই এসব এলাকার মার্কেট কমিটি যদি মনে করে যে, তাদের দোকান বন্ধ রাখবে, তাহলে রাখতেই পারে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। কারণ, সবার আগে আমাদের জীবন।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঈদ উপলক্ষে শর্ত সাপেক্ষে ১০ মে থেকে বিপণিবিতান ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে।  নিজ এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে শপিং করতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।