ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,রাজপাড়া(রাজশাহী) প্রতিনিধি,১৬ মার্চ : পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজশাহীতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য ও তিনজন কারারক্ষী রয়েছেন। গত রবিবার বিকেলে ছিনতাই মামলায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে বিষয়টি ওই দিন রাতে নিশ্চিত করে রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন খান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ ভায়াট এলাকার সিদ্দিক মোল্লার ছেলে ও আরএমপির রিজার্ভ ফোর্সের কনস্টেবল সেলিম হোসেন (২২), বগুড়া জেলার গাবতলি থানার রহিমাপাড়া এলাকার অমল চন্দ্রের ছেলে রাজশাহী কারাগারের কারারক্ষী অভি মান্য (২৬), বগুড়ার সোনাতলার তেকানী এলাকার আব্দুল জলিল আকনের ছেলে কারারক্ষী তোফায়েল (২৫), চাঁপপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার নয়ালাভাঙ্গার মৃত খাইরুল ইসলামের ছেলে কারারক্ষী রবিউল আউয়াল রুবেল (২৩)।
ওসি শাহাদাত হোসেন জানান, শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী খুরশিদ জাহান তাঁর আত্মীয় জনিকে সাথে নিয়ে টি-বাঁধ থেকে পায়ে হেঁটে ফিরছিল। এ সময় শিমলা পার্কের পাশে চারজন ব্যক্তি নিজেদের রাজপাড়া থানার পুলিশ সদস্য পরিচয় দেন। এরপর তারা খুরশিদ ও জনিকে আটক করে শরীর তল্লাশি করে। তবে সঙ্গে কিছু না পেয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই টাকা না দিলে মাদক মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু তারা টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের দুজনকে টেনেহিঁচড়ে বাঁধের ওপরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের দুজনকে ওই চারজন মিলে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা খুরশিদ ও জনির কাছ থেকে দুই হাজার টাকা কেড়ে নেয়। সেই সাথে বিষয়টি পুলিশকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
ওসি বলেন, ঘটনার পরপরই খুরশিদ জাহান ও জনি রাজপাড়া থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। সঙ্গে সঙ্গে রাজপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় খুরশিদ তাদের শনাক্ত করলে পুলিশ এক পুলিশ ও দুই কারারক্ষীকে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত আরেক কারারক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।