মুক্তিপন আদায়ের জন্যই তাওসিফুরকে অপহরণ

SHARE

cওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০৫ নভেম্বর :  গুলশানের পুলিশ প্লাজা থেকে অপহৃত ছয় বছরের শিশুকে উদ্ধারসহ তিন অপহরণকারীকে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের দু’টি দল। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রুবেল রানা, শিপন শেখ ও মো. সাগর।

গতকাল শনিবার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার তেজগাঁও-বিজয়সরণি ফ্লাইওভার ও হাতিরঝিল মধ্য কুনিপাড়া এলাকা থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার কর হয়।

রবিবার বেলা ১১ টার সময়ে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম।

শেখ নাজমুল আলম বলেন, গত ৩ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটার দিকে মো. মোমিন আহম্মেদ তার স্ত্রী নাজমুন আক্তার ও তাদের ছয় বছরের শিশু সন্তান তাওসিফুর রাহিমসহ পুলিশ প্লাজাতে শপিং করতে আসেন। ওই সময়ে অপহরণকারী রুবেল রানা ও তার সহযোগীরা তাওসিফুরকে প্রলোভন দেখিয়ে শপিং মল থেকে অপহরণ করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের হাতিরঝিলের সামনে মধ্য কুনিপাড়ায় নিয়ে যায়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, অপহরণটি পূর্বপরিকল্পিত ছিলনা। অপহরণকারীরা অপহরণের জন্য ঘটনাস্থলে ওঁত পেতে থাকে এবং সুযোগ পেয়ে বাচ্চাটিকে তারা প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। অপহরণের পর বাচ্চার কাছ থেকে তার বাবার মোবাইল নম্বর নিয়ে তার বাবার কাছে কল করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। বিষয়টি তাওসিফুরের বাবা পুলিশকে জানান। পরে গুলশান বিভাগ ও ডিবি উত্তর বাচ্চাকে উদ্ধারের জন্য যৌথ অভিযান চালায়।

শেখ নাজমুল আলম বলেন, অপহরণকারীরা শনিবার ভোর আনুমানিক চারটার দিকে র‌্যাংগস ভবন ফ্লাই ওভারের নিচে মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার জন্য আসে। এর আগেই গোয়েন্দা পুলিশ ছদ্মবেশে তেজগাঁও-বিজয়সরণি ক্রসিংয়ের আশে-পাশে অবস্থান নেয়। তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ধীরে-ধীরে অগ্রসর হন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করতে করতে অপহরণকারীরা প্রাইভেটকারযোগে পালিয়ে যেতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ৫ রাউন্ড পিস্তলের গুলি বর্ষণ করে। এক পর্যায়ে অপহরণকারী দলের একজন রুবেল রানা গাড়ি থেকে নিচে পড়ে যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় মধ্য কুনিপাড়ার হাতিরঝিল সংলগ্ন একটি ঘনবসতিপূর্ণ বাড়ির তৃতীয় তলায় অপহৃত শিশুটি অপর অপহরণকারীদের হেফাজতে আছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে গোয়েন্দা পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অপর দুইজন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে তাওসিফুরকে উদ্ধার করে।

অভিযানের সময়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম সাকলায়েন গুরুতর আহত হন।