রোহিঙ্গা সঙ্কট: ‘কূটনৈতিক সমাধান’ চায় যুক্তরাষ্ট্র

SHARE

under-secy-state-shannon--a_109292ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০৫ নভেম্বর :  রোহিঙ্গা সঙ্কটের কূটনৈতিক সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকা সফরে থাকা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি টমাস শ্যানন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা সঙ্কটের কূটনৈতিক সমাধানেই জোর দিচ্ছে তার দেশ।’

আজ রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ষষ্ঠ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বমূলক সংলাপ শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শ্যানন।

সংলাপ শেষে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে জোরালো সমর্থক। অংশীদারত্ব সংলাপে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আমাদের মধ্যে বিস্তারিত ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) মানবিক সহায়তা দিচ্ছে এবং সঙ্কট সমাধানে অন্তত ৩১ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি থমাস এ শ্যানর বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সমস্যার সমাধান করা এবং এই সঙ্কটের কূটনৈতিক সমাধান খোঁজা।আমরা এজন্য বার্মা, বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলছি। রোহিঙ্গারা যে অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে আছে সেটির সমাধান এবং কেন তারা (রোহিঙ্গারা) বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে তার সমাধানের চেষ্টা করছি।’
রোহিঙ্গা সঙ্কট: ‘কূটনৈতিক সমাধান’ চায় যুক্তরাষ্ট্র
এর আগে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ষষ্ঠ অংশীদারিত্ব সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব এ কে এম শহীদুল হক এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি থসাস শ্যানন।

বিভিন্ন পদক্ষেপ সত্ত্বেও মিয়ানমার কোনও কথা শুনছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তারা বার্মা সফর করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ ও বার্মা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে। আমাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ আছে কিন্তু সেটি আমরা ভাবছি না। আমরা এখন সমাধান চাই, কাউকে শাস্তি দেওয়া না।’

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা এ নিয়ে আলোচনা করছি।’

এর আগে সূচনা বক্তব্যে থসাস শ্যানন বলেন, ‘পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং আমি বার্মার সাথে সীমান্তে চলমান মানবাধিকার সম্পর্কে অনেকক্ষণ আলোচনা করেছি। উত্তর রাখাইনে হওয়া নৃশংসতার মাত্রা নিয়ে আমি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স এবং সেক্রেটারি টিলারসনও এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন।’