বাড্ডায় জোড়া খুনে মামলা: আরজিনার প্রেমিক গ্রেফতার

SHARE

badda-murder_108805ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০৩ নভেম্বর :  রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় বাবা ও মেয়ে খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত জামিলের ছোট ভাই মো. শামীম শেখ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাড্ডা থানায় মামলাটি (মামলা নং-৩) করেন। মামলায় নিহত জামিলের স্ত্রী আরজিনা (৩০) ও শাহীন নামে তাদের বাসার এক ভাড়াটিয়াকে (সাব-লেট) আসামি করা হয়েছে।

বাড্ডা থানার ওসি ওয়াজেদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর থেকেই আরজিনা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এদিকে এই খুনের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আরজিনার পরকীয়া প্রেমিক প্রধান সন্দেহভাজন ও দায়েরকৃত মামলার আসামি শাহিন মল্লিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাড্ডায় জোড়া খুনে মামলা: আরজিনার প্রেমিক গ্রেফতার
তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে খুলনা থেকে শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত জামিলের ভাই শেখ শামীম হোসেন বাদী হয়ে নিহতের স্ত্রী আরজিনা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক শাহিন মল্লিককে আসামি করে বাড্ডা থানায় এ মামলা করেন। মামলা নং ৪। বৃহস্পতিবার রাতেই ৩০২/৩৪ ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়।

তিনি আরও বলেন, শাহিন মল্লিক পেশায় রং মিস্ত্রি। মামলায় পরকীয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। নিহতের পরিবারও একই দাবি করেছে। স্ত্রী আরজিনা ও তার প্রেমিক শাহিনের যোগসাজশে জোড়া খুন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার হোসেনবাগ মার্কেটের পাশে ময়নারমোড় এলাকার একটি বাসার ছাদ থেকে বাবা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তারা হলেন- জামিল (৩৮) ও তার মেয়ে নাম নুসরাত (৯)। দুর্বৃত্তরা নুসরাতকে শ্বাসরোধে এবং জামিলকে কুপিয়ে খুন করে। জামিল গোপালগঞ্জ সদরের করপাড়া ইউনিয়নের বনপাড়া গ্রামের মৃত বেলায়েত শেখের ছেলে। তিনি তেজগাঁওস্থ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক ছিলেন।

ওই বাসার তৃতীয়তলায় দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতেন জামিল। ঈদুল আজহার পরে স্ত্রী আরজিনা, মেয়ে নুসরাত ও ছেলে আলফিকে (৩) নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। আর শাহীন তার পরিবার নিয়ে জামিলের সঙ্গে সাব-লেট ছিলেন।

পরে গতকাল বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। এতেও জামিলের মাথায় আঘাত করে এবং নুসরাতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়ে বলে জানান ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।