দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর লাইফ হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগণস্টিক সেন্টারে পেটে সন্তান রেখেই সিজার শেষ

SHARE

22688396_2029274270636329_1869746197354985_nওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,আলমগীর হোসেন,২৫ নভেম্বর : কুমিল্লা দাউদকান্দির গৌরীপুর লাইফ হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পেটে সন্তান রেখেই সিজারীয়ান কার্যক্রম সমাপ্ত করেছেন ডাঃ শেখ হোসনে আরা। এ ঘটনায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি। জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আউয়াল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা আক্তার (১৮) কে গৌরীপুর লাইফ হসপিটালে সিজারীয়ান অপারেশন করেন দাউদকান্দির বিটেশ্বর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কেন্দ্র প্রেষনে মালিগাঁও ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডাঃ শেখ হোসনে আরা। এনেসথেসিয়া প্রয়োগ করেন বি-বাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মঞ্জুরুল আলম। রোগী খাদিজা আক্তারের মাতৃগর্ভে ২টি সন্তান থাকলেও সিজারীয়ান অপারেশন করে ১টি সন্তান বাহির করে অপরটি টিউমার বলে সিজারীয়ান কার্যক্রম সমাপ্ত করেন ডাঃ শেখ হোসনে আরা। পরবর্তীতে দীর্ঘ ১ মাস যাবত সন্তান পেটে রেখেই টিউমারের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে ছুটাছুটি করেন খাদিজা আক্তার। ৫/৬ দিন পূর্বে উক্ত রোগী হোমনা স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে জানতে পারে তার পেটে টিউমার নয় আরেকটি সন্তান রয়েছে। রোগীর পরিবার তাৎক্ষনিক এবিষয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাঃ শেখ হোসনে আরাকে জানালে তারা অর্থের লোভ দেখিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। রোগীর মা আমেনা বেগম বিষয়টি দাউদকান্দির ইউএইচএফপিও এবং সাংবাদিকদের বিষয়টি অবগত করেন। ২৩ অক্টোবর সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য খাদিজা বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীলের অবস্থা আশংকাজনক। ডাঃ শেখ হোসনে আরা ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ তুলেছেন রোগীরা। সরকারী অফিস চলাকালিন সময়েও তিনি সিজারীয়ান করে থাকেন। যাহা কর্ত্যবকাজে চরম গাফিলতি ও অবহেলার সামীল এবং সরকারী আচরণ বিধির পরিপন্থি। এব্যাপারে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জালাল হোসেন বলেন, এঘটনায় প্রাথমিক ভাবে তাকে শোকজ করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।