রামপালের জন্য ইউনেস্কো কিছু ছোট শর্ত দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের

SHARE
quder_87107ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০৯ জুলাই :  সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘রামপাল বিষয়ে সরকার কোনো মিথ্যাচার করছে না। রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নির্মাণে জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ছোট কিছু শর্ত দিয়েছে। দেশ, জনগণ ও পরিবেশের স্বার্থে সরকার সেগুলো পূরণ করবে। একেবারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে- এটি সত্য নয়।
আজ রবিবার সকালে দলের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার আগে যশোরের রাজারহাট মোড়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে যা সত্য, দিবালোকের মতো পরিষ্কার, সেটাই আমরা বলেছি। মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড বাজানো বিএনপির পুরনো অভ্যাস।’
বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) বসে বসে প্রেস ব্রিফিং করে আর কান্নাকাটি করে। আমাদের তো হাজার হাজার কর্মীকে তারা হত্যা করে রক্তস্রোত বইয়ে দিয়েছিল। আমাদের কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকিয়ে গেছে।’
সড়ক নির্মাণে দুর্নীতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘করাপশান ইজ অ্যা ওয়ে অব লাইফ অ্যাক্রস দ্য ওয়ার্ল্ড! দুর্নীতি ছিল, কিন্তু অনেক কমিয়েছি।’
তিনি নিজ মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘এখন টেন্ডার হয় ইলেক্ট্রনিক টেন্ডারের মাধ্যমে; সেকারণে এখানে টেম্পারিংয়ের কোনও সুযোগ নেই। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সৎ; তার সততার কারণে অনেক সেক্টরে দুর্নীতি কমানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযোগ অনেকটা অমূলক।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব পার্সেন্টেজ, কমিশন এবং প্রমোশনে কোনও অর্থ নেয় না। যদি কোনও মন্ত্রণালয়ের সচিব দুর্নীতিমুক্ত থাকেন, সেক্ষেত্রে ওই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি অটোমেটিক্যালি ৫০ পার্সেন্ট কমে যায়।’
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘দেশে পদ্মাসেতুর মতো মেগা প্রজেক্ট কিংবা মেট্রো রেলের প্রকল্প নিয়ে কই বিদেশিরা তো প্রশ্ন তুলছে না!’
বাংলাদেশের সড়কে বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগের যে রাস্তা ছিল চার লেনের, এখন আলটিমেটলি তা হচ্ছে আট লেনের। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সার্ভিস লেন। বিদেশিরা আগের সেই চার লেনের রাস্তার হিসেব দিচ্ছে। আমরা তাদের এ বিষয়ে বুঝিয়েছি। তাছাড়া আমাদের দেশের মাটির অবস্থাটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। অনেক নিচু জমি উঁচু করা লাগে।’
যশোরে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।