স্ত্রীর মামলায় কারাগারে ওসি রেফায়েত উল্লাহ

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,খুলনা প্রতিনিধি,০১ মে : চট্টগ্রামের পটিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল রবিবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. নুরুল আমিন বিপ্লব এ আদেশ দেন।

স্ত্রী নাছরিন আক্তার রুমার দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় আজ রবিবার দুপুরে পুলিশ কর্মকর্তা রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। স্ত্রী রুমা নির্যাতনে অভিযোগ এনে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামী রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। রোববার এ মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল।

আদালতে জামিন শুনানিতে বাদি পক্ষে অংশ নেন জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কাজী আবু শাহীন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অলোকা নন্দা দাস, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জেলা সমন্বয়কারী মোমিনুল ইসলাম ও হিমাংশু চক্রবর্তী। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রজব আলী সরদার। স্ত্রীর মামলা দায়েরের পর রেফায়েত উল্লাহকে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে ক্লোজড করে রাখা হয়েছে।

পিপি অলোকা নন্দা দাস মামলার এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ১৯৯৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর সাথে বিয়ে হয় খুলনার খালিশপুর নতুন কলোনীর মৃত আব্দুল খালেকের মেয়ে নাছরিন আক্তার রুমার। গত ২ বছর ধরে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় রেফায়েত উল্লাহ মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জড়িত হয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। এছাড়া হ্যাপী চৌধুরী নামের এক নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। বিষয়গুলো জানার পর প্রতিবাদ করায় স্ত্রী রুমাকে দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন পুলিশ কর্মকর্তা রেফায়েত।

গত শনিবার স্ত্রী রুমা স্বামী রেফায়েতের বিরুদ্ধে নির্যাতনের নানা বিবরণ তুলে ধরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন পুলিশ পরিদর্শক রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী। একই সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন একাধিক পরকীয়া। এসবের প্রতিবাদ করায় চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন স্ত্রী নাছরিন আক্তার রুমা। কেড়ে নেয়া হয়েছে তার ২ কন্যা রাইসা বিনতে চৌধুরী (১৫) ও নানজীবা চৌধুরীকে (৯)।